AI Projukti

AI Projukti - এখানে আপনি জানতে পারবেন কীভাবে এআই টুলস কাজ করে, সেগুলো ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবনে ব্যবহার করবেন, এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখবেন। আপনি যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে জানতে, শিখতে বা এটি ব্যবহার করতে আগ্রহী হন, তাহলে AI Projukti-এর সঙ্গেই থাকুন এবং প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ জানুন।

ChatGPT and Alternatives লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ChatGPT and Alternatives লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ডিপসিক কী? কম খরচে শক্তিশালী এআই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ

Photo by Liang Wenfeng

লিয়াং ওয়েনফেং


ওয়েনফেং নামে একজন চীনা লোক আছেন যিনি খুব বুদ্ধিমান। তিনি একটা কোম্পানি খুলেছেন যার নাম ডিপসিক। এই কোম্পানিটা এমন কিছু জিনিস তৈরি করে যা অনেকটা মানুষের মস্তিষ্কের মতো কাজ করে।

যেমন ডিপসিক মানুষের কথা বুঝতে পারে, তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, অনেকটা যেন আপনার কোনো বন্ধু আছে যে সবকিছু জানে এবং আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

লিয়াং ওয়েনফেং ছোটবেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিলেন। তিনি ভালো করে পড়াশোনা করে অনেক কিছু শিখেছেন। তারপর তিনি এমন একটা কোম্পানি তৈরি করেছেন যা এখন সারা বিশ্বে খুব বিখ্যাত।

ডিপসিক কোম্পানি ভবিষ্যতে আরও অনেক নতুন জিনিস তৈরি করবে যা আমাদের জীবনকে আরও সহজ করে দেবে। লিয়াং ওয়েনফেং চান তার তৈরি করা জিনিসগুলো দিয়ে মানুষ আরও অনেক বেশি উপকৃত হোক।

ডিপসিক কী?

ডিপসিক হল একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্ল্যাটফর্ম, যা মানুষের মতো কথা বলতে পারে, প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে এবং নতুন কিছু তৈরি করতে পারে। এটি ChatGPT-এর মতোই কাজ করে, কিন্তু এটি কম খরচে এবং কম শক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। ডিপসিক তৈরি করেছেন লিয়াং ওয়েনফেং নামের একজন বিজ্ঞানী, যিনি ২০২৩ সালে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।


ডিপসিক কিভাবে তৈরি হয়েছে?

১. ডেটা সংগ্রহ: এআই এর খাবার

মনে করেন, আপনিযদি একটা নতুন ভাষা শিখতে চান, তাহলে আপনাকে সেই ভাষার অনেক শব্দ, বাক্য এবং নিয়ম শিখতে হবে। ডিপসিক কেও ঠিক তেমনই অনেক তথ্য শিখতে হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা ডিপসিক কে শেখানোর জন্য ইন্টারনেট থেকে অনেক ডেটা সংগ্রহ করেছিলেন, যেমন:

  • গল্প, কবিতা, বই

  • বিজ্ঞান প্রবন্ধ

  • খবরের কাগজ

  • কোডিং এর ভাষা

এই ডেটাগুলো ডিপসিক এর "খাবার" এর মতো। এগুলো দিয়ে ডিপসিক কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে সে মানুষের মতো কথা বলতে এবং চিন্তা করতে পারে।

২. প্রশিক্ষণ: ডিপসিক কে শেখানো

ডিপসিক কে শেখানোর জন্য বিজ্ঞানীরা একটি বিশেষ কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার করেছিলেন, যাকে বলা হয় "নিউরাল নেটওয়ার্ক"। এটি অনেকটা আমাদের মস্তিষ্কের মতো কাজ করে। ডিপসিক এর ভেতরে অনেক ছোট ছোট অংশ আছে, যেগুলোকে "নিউরন" বলা হয়। এই নিউরনগুলো একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে তথ্য আদান-প্রদান করে।

যখন ডিপসিক কে কোনো প্রশ্ন করা হয়, তখন সে তার নিউরনের জাল ব্যবহার করে সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজে। এটি অনেকটা যেন আমরা কোনো সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করি। ডিপসিক তার আগের শেখা ডেটা ব্যবহার করে সবচেয়ে ভালো উত্তরটা বের করে।

৩. চ্যালেঞ্জ এবং পরিশ্রম

ডিপসিক তৈরি করতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। যেমন:

  • ডেটা সংগ্রহ: ইন্টারনেট থেকে সঠিক এবং নির্ভুল ডেটা সংগ্রহ করা খুব কঠিন কাজ।

  • কম্পিউটার শক্তি: ডিপসিক কে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য শক্তিশালী কম্পিউটার এবং অনেক সময় প্রয়োজন ছিল।

  • ত্রুটি সংশোধন: ডিপসিক কে বারবার পরীক্ষা করে দেখতে হয়েছিল যে সে সঠিক উত্তর দিচ্ছে কিনা।

বিজ্ঞানীরা, ইঞ্জিনিয়াররা এবং গবেষকরা অনেক দিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করে ডিপসিক কে তৈরি করেছেন। তারা দিনের পর দিন কাজ করেছেন, যাতে ডিপসিক আরও স্মার্ট এবং দক্ষ হয়ে উঠতে পারে।


ডিপসিক কিভাবে কাজ করে?

১. ধাপে ধাপে বুঝে দেখা (Step-by-Step Understanding):

Deepseek কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে ধীরে ধীরে একটার পর একটা ধাপ বুঝে দেখে। যেমন, ধরেন আপনি বললেন, "আমি একটি জন্মদিনের পার্টি করতে চাই, কী কী লাগবে?" তখন Deepseek প্রথমে ভাববে পার্টি কোথায় হবে, তারপর কী ধরনের খাবার দরকার, কতজন বন্ধু আসবে—এভাবে সবকিছু বুঝে তারপর আপনাকে সঠিক উত্তর দেবে।

২. অভিজ্ঞতা থেকে শেখা (Learning from Experience):
ঠিক যেমন আপনি সাইকেল চালানো শিখতে গিয়ে বারবার চেষ্টা করেছেন এবং ধীরে ধীরে ভালো হয়ে উঠেছেন, Deepseek-ও তেমনই। এটি বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে শিখে নেয় কোন পদ্ধতিতে কাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। পরের বার একই ধরনের সমস্যা আসলে এটি আরও ভালোভাবে উত্তর দিতে পারে।

৩. স্মার্ট পদ্ধতি তৈরি (Creating Smart Methods):
Deepseek অনেক বড় এবং জটিল তথ্য থেকে শুধু গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো বেছে নেয় এবং সেগুলোকে সহজভাবে সাজিয়ে ফেলে। এর ফলে এটি খুব দ্রুত কাজ করতে পারে এবং কম সময়ে সঠিক উত্তর দিতে পারে।


ডিপসিক এর ব্যবহার

ডিপসিক এখন থেকেই অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়:

  • শিক্ষা: শিক্ষার্থীরা ডিপসিক ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায় এবং নতুন জ্ঞান অর্জন করে।

  • ব্যবসা: কোম্পানিগুলো গ্রাহকসেবায় ডিপসিক ব্যবহার করে, যেমন চ্যাটবট তৈরি করা।

  • গবেষণা: বিজ্ঞানীরা ডিপসিক ব্যবহার করে নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন।

  • সৃজনশীল কাজ: লেখক এবং শিল্পীরা ডিপসিক ব্যবহার করে গান, কবিতা এবং গল্প তৈরি করেন।


ডিপসিক এর ভবিষ্যৎ

ডিপসিক ভবিষ্যতে আরও উন্নত হবে, এটি আরও বেশি ডেটার সংগ্রহ করবে এবং এটার মাধ্যমে মানুষের জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।

Photo by Liang Wenfeng

লিয়াং ওয়েনফেং



কেন ডিপসিক জানা গুরুত্বপূর্ণ?

  • ভবিষ্যতের কাজ: আগামী দিনে এআই প্রযুক্তি সব ক্ষেত্রে ব্যবহার হবে। ডিপসিক জানলে আপনি ভবিষ্যতে ভালো কাজ পেতে পারেন।

  • সৃজনশীলতা: ডিপসিক আপনাকে নতুন আইডিয়া দিতে পারে এবং আপনার সৃজনশীল কাজে সাহায্য করতে পারে।

  • গবেষণা: আপনি ডিপসিক ব্যবহার করে নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পারেন এবং গবেষণায় সাহায্য নিতে পারেন।


উপসংহার

ডিপসিক হল একটি শক্তিশালী এআই মডেল, যা কম খরচে এবং দক্ষতার সাথে কাজ করে। এটি ওপেন সোর্স, মানে সবাই এটি ব্যবহার করতে পারে এবং এটিকে উন্নত করতে পারে। ভবিষ্যতে ডিপসিক আরও উন্নত হবে এবং আমাদের জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।



আর্টিকেল পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে আর কিছু শিখতে পারেন, তাহলে প্লিজ এই AD লেখাতে একটা ক্লিক করবেন। ভয়ের কিছু নাই এখানে ক্লিক করলে আপনাকে কোন একটি ওয়েবসাইটে বা একটি অ্যাড এ নিয়ে যাওয়া হবে এবং এটার মাধ্যমে আমি বাংলাদেশি টাকায় এক পয়সা বা তার চেয়েও কম পাব, তাই কোন ভয় ছাড়াই ক্লিক করতে পারেন। আপনার এক ক্লিকেই আমার অনেক উপকার হবে।

AD


আপনার মতামত বা কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে, নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এছাড়াও, যদি কোনো বিশেষ এআই টুল সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন!




বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫

Deepseek কি?

deepseek image


deepseek image

deepseek download link

ডিপসিক ডাউনলোড লিঙ্ক

Deepseek আপনার ফোন বা কম্পিউটারের স্ক্রিনে খুব সহজেই চলে আসে। এটি ব্যবহার করাও খুব সহজ। Deepseek এর ইন্টারফেসটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে যেকোনো বয়সের মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারে।

লিঙ্ক: https://www.deepseek.com

Deepseek কি?

Deepseek একটি আধুনিক প্রযুক্তি যা কম্পিউটার এবং মোবাইল ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়। এটি মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিতে পারে। Deepseek কে আমরা একটি বুদ্ধিমান রোবটের মতো ভাবতে পারি, যা আমাদের অনেক কাজে সাহায্য করে।

Deepseek কি করতে পারে?

Deepseek অনেক কিছু করতে পারে। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা বলছি:

  1. সহজে তথ্য খুঁজে বের করা: Deepseek ইন্টারনেট থেকে খুব দ্রুত তথ্য খুঁজে বের করতে পারে। আপনি যদি কোন প্রশ্নের উত্তর জানতে চান, Deepseek তাৎক্ষণিকভাবে আপনাকে সঠিক তথ্য দিতে পারে।

  2. ভাষা অনুবাদ: Deepseek বিভিন্ন ভাষা অনুবাদ করতে পারে। আপনি যদি ইংরেজি থেকে বাংলা বা বাংলা থেকে অন্য কোন ভাষায় অনুবাদ করতে চান, Deepseek তা খুব সহজেই করতে পারে।

  3. সমস্যার সমাধান: Deepseek বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যা এবং জটিল প্রশ্নের সমাধান দিতে পারে। এটি আপনার হোমওয়ার্ক বা প্রজেক্টে সাহায্য করতে পারে।

  4. সৃজনশীল কাজ: Deepseek গল্প, কবিতা, এবং আর্টিকেল লিখতে পারে। আপনি যদি কোন নতুন গল্প বা কবিতা লিখতে চান, Deepseek আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

  5. শেখার সহায়ক: Deepseek শিক্ষার্থীদের জন্য একটি দুর্দান্ত সহায়ক। এটি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে পারে এবং নতুন জ্ঞান শেখাতে পারে।

Deepseek কিভাবে কাজ করে?

Deepseek অনেকগুলো তথ্য এবং ডেটা ব্যবহার করে কাজ করে। এটি মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। Deepseek এর মস্তিষ্কে অনেক তথ্য জমা থাকে, যা এটি খুব দ্রুত ব্যবহার করে আমাদের সাহায্য করে।

Deepseek কেন গুরুত্বপূর্ণ?

Deepseek আমাদের জীবনকে সহজ করে তোলে। এটি আমাদের সময় বাঁচায় এবং বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। Deepseek এর মাধ্যমে আমরা নতুন জ্ঞান শিখতে পারি এবং আমাদের দক্ষতা বাড়াতে পারি।


Deepseek অনেক কিছু করতে পারে। নিচে এর কিছু কাজের কথা বলা হলো:

  • সহজে তথ্য খুঁজে বের করা: যদি তুমি কোনো প্রশ্নের উত্তর জানতে চাও, তাহলে Deepseek তোমাকে খুব তাড়াতাড়ি সঠিক তথ্য খুঁজে দেবে। এটা ইন্টারনেটে অনেক কিছু জানে।
  • ভাষা অনুবাদ: Deepseek বিভিন্ন ভাষা বুঝতে পারে। তুমি যদি চাও ইংরেজি থেকে বাংলা বা অন্য কোনো ভাষায় কিছু অনুবাদ করতে, Deepseek তোমাকে সাহায্য করবে।
  • সমস্যার সমাধান: Deepseek তোমার গণিতের সমস্যা আর কঠিন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। তোমার হোমওয়ার্ক বা প্রজেক্টে এটা খুব কাজে আসবে।
  • নতুন কিছু তৈরি: Deepseek গল্প, কবিতা লিখতে পারে। যদি তুমি নতুন কিছু লিখতে চাও, Deepseek তোমাকে সাহায্য করতে পারে।
  • পড়াশোনায় সাহায্য: Deepseek তোমাকে অনেক কিছু শিখতে সাহায্য করতে পারে। যেকোনো বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে Deepseek তোমাকে বুঝিয়ে বলতে পারবে।

Deepseek কিভাবে কাজ করে?

Deepseek অনেক তথ্য ব্যবহার করে কাজ করে। এটা অনেকটা মানুষের মস্তিষ্কের মতো, যেখানে অনেক কিছু জমা থাকে। যখন তুমি Deepseek কে কিছু জিজ্ঞাসা করো, তখন সে তার সব তথ্য ব্যবহার করে তোমাকে উত্তর দেয়।

Deepseek কেন দরকারি?

Deepseek আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে তোলে। এটা আমাদের সময় বাঁচায় আর অনেক কাজে সাহায্য করে। Deepseek দিয়ে আমরা নতুন কিছু শিখতে পারি আর আমাদের দক্ষতা বাড়াতে পারি।

শেষ কথা

Deepseek একটি অসাধারণ প্রযুক্তি যা আমাদের অনেক উপকার করে। এটি আমাদের শিক্ষা, কাজ এবং দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করে তোলে। আশা করি, এই আর্টিকেলটি পড়ে তোমরা Deepseek সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছ। যদি তোমাদের আরও কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে Deepseek কে জিজ্ঞাসা করতে পারো!

সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫

২০২৫ সালে এআই দক্ষতা: ১০টি টুল যা বদলে দেবে আপনার কর্মজীবন

 


এই পৃথিবী এখন এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এর সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে। যারা এখনও এআই ব্যবহার করছে না বা এর সঠিক ব্যবহার জানে না, তারা খুব তাড়াতাড়ি পিছিয়ে পড়বে। বিষয়টা অনেকটা এমন, যেমন সুন্দরবনে বা পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করা আদিবাসীরা - তারা আধুনিক প্রযুক্তি থেকে অনেক দূরে। আমি এটা মজা করে বলছি না, বরং এটাই বাস্তব। ভবিষ্যতের ৫ বছরে এই পরিবর্তন আপনারা নিজেরাই দেখতে পারবেন।

ভবিষ্যতে, পৃথিবীতে দুই ধরণের মানুষ থাকবে:

  • প্রথম দল: যারা এআই এর সঠিক ব্যবহার জানে এবং এর মাধ্যমে নিজেদের কাজ আরও উন্নত করবে, এমনকি অন্যদের কাজও নিজেদের করে নেবে।
  • দ্বিতীয় দল: যারা এআই ব্যবহার করতে পারবে না এবং একসময় তাদের চাকরি বা কাজ হারাতে হবে।

আপনি যদি দ্বিতীয় দলে পরতে না চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। এখানে আমি ১০টি গুরুত্বপূর্ণ এআই টুলস এর কথা বলব, যা ২০২৫ সালে আপনার টিকে থাকার জন্য জানা অত্যাবশ্যক।


image


প্রথম টুল: চ্যাটজিপিটি (ChatGPT)

চ্যাটজিপিটি একটি খুবই দরকারি এআই টুল। এটি মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে ১০ বছর এগিয়ে দিয়েছে। এই টুল না থাকলে হয়তো মানুষ এখনও এআই নিয়ে তেমন কথা বলত না।

সহজ ভাষায়, চ্যাটজিপিটি হলো এমন একটি কম্পিউটার, যার মধ্যে পৃথিবীর সকল জ্ঞান জমা আছে। তাই, এটি আপনার যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, তাও আবার যুক্তির সাথে। আপনি Google এর মাধ্যমে সরাসরি চ্যাটজিপিটিতে সাইন ইন করতে পারবেন।

[চ্যাটজিপিটির লিঙ্ক: https://chatgpt.com/?model=gpt-4]

এটি কম্পিউটার এবং মোবাইল দুটোতেই ব্যবহার করা যায়।



image

২. ওডু (Odoo): ওডু হলো একটি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার। এটি ব্যবসা পরিচালনা, হিসাব রাখা, গ্রাহক সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা (CRM) সহ বিভিন্ন কাজে লাগে। এটি ব্যবসার জন্য খুবই উপযোগী।

[ওডুর লিঙ্ক: https://www.odoo.com/r/m4G]

এটি মূলত কম্পিউটারে ব্যবহার করার জন্য তৈরি, তবে কিছু মোবাইল অ্যাপও আছে।






image



৩. অ্যাডোবি ফায়ারফ্লাই (Adobe Firefly):
অ্যাডোবি ফায়ারফ্লাই একটি শক্তিশালী ইমেজ জেনারেটর এবং এডিটর। এর মাধ্যমে টেক্সট থেকে ছবি তৈরি করা, ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করা এবং অন্যান্য অনেক এডিটিং এর কাজ করা যায়।

[অ্যাডোবি ফায়ারফ্লাই এর লিঙ্ক: https://firefly.adobe.com/]

এটি কম্পিউটার এবং কিছু মোবাইল ব্রাউজারে ব্যবহার করা যায়।



image

৪. আপস্কেল এআই (Upscayl AI): আপস্কেল এআই একটি চমৎকার টুল যা কম রেজুলেশনের ছবিকে আরও স্পষ্ট এবং ঝকঝকে করে তোলে।

[আপস্কেল এআই এর লিঙ্ক: https://upscayl.org/download]

এটি শুধু কম্পিউটারের জন্য তৈরি।



image

৫. লিওনার্দো এআই (Leonardo AI): লিওনার্দো এআই আরেকটি অসাধারণ ইমেজ জেনারেটর। এটি বিভিন্ন ধরণের স্টাইলে ছবি তৈরি করতে পারে।

[লিওনার্দো এআই এর লিঙ্ক: https://leonardo.ai/]

এটি কম্পিউটার এবং মোবাইল দুটোতেই ব্যবহার করা যায়।



image


৬. লুমা এআই (Luma AI): লুমা এআই দিয়ে ভিডিও এবং থ্রিডি মডেল তৈরি করা যায়। এটি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য খুবই উপযোগী।

[লুমা এআই এর লিঙ্ক: https://lumalabs.ai/dream-machine/cre...]

এটি কম্পিউটার এবং মোবাইল দুটোতেই কাজ করে, তবে কম্পিউটারে ভালো পারফর্ম করে।


image

৭. ইলেভেন ল্যাবস (Eleven Labs): ইলেভেন ল্যাবস হলো একটি ভয়েস জেনারেটর এবং এডিটর। এর মাধ্যমে টেক্সট থেকে মানুষের মতো ভয়েস তৈরি করা যায়।

[ইলেভেন ল্যাবস এর লিঙ্ক: https://try.elevenlabs.io/tubesensei]

এটি কম্পিউটার এবং মোবাইল দুটোতেই ব্যবহার করা যায়।


image
৮. সুনো এআই (Suno AI): সুনো এআই একটি এআই মিউজিক জেনারেটর। এটি লিরিক্স এবং গানের ধরণ অনুযায়ী গান তৈরি করতে পারে।

[সুনো এআই এর লিঙ্ক: https://suno.com/]

এটি কম্পিউটার এবং মোবাইল দুটোতেই ব্যবহার করা যায়।




image


৯. ইনভিডিও এআই (InVideo AI): ইনভিডিও এআই একটি শক্তিশালী ভিডিও এডিটিং টুল যা এআই এর মাধ্যমে কাজ করে। এর মাধ্যমে খুব সহজে প্রফেশনাল মানের ভিডিও তৈরি করা যায়।

[ইনভিডিও এআই এর লিঙ্ক: https://invideo.io/i/TubeSensei]

এটি কম্পিউটার এবং মোবাইল দুটোতেই ব্যবহার করা যায়।





image



১০. ডেকোহেরেন্স এআই (Decoherence AI): ডেকোহেরেন্স এআই একটি অত্যাধুনিক এআই ইমেজ জেনারেটর। লিওনার্দো এআই এর মতো, এটিও টেক্সট থেকে ছবি তৈরি করতে পারে। তবে এর বিশেষত্ব হলো, এটি টেক্সট লেখার সাথে সাথেই ছবি তৈরি করতে শুরু করে, যা ব্যবহারকারীকে লাইভ ইমেজ জেনারেশনের অভিজ্ঞতা দেয়।

[ডেকোহেরেন্স এআই এর লিঙ্ক: https://www.decohere.ai/]

এটি কম্পিউটার এবং মোবাইল দুটোতেই ব্যবহার করা যায়।


উপসংহার:

এই ১০টি এআই টুলস ২০২৫ সালের মধ্যে আপনার জন্য খুবই দরকারি হয়ে উঠবে। তাই, এখন থেকেই এগুলোর ব্যবহার শিখতে শুরু করুন এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকুন।


আপনার মতামত বা কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে, নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এছাড়াও, যদি কোনো বিশেষ এআই টুল সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন!



Blogger দ্বারা পরিচালিত.